বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ভারতীয় কাঁচা মরিচ আসায় বরিশালে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে কমেছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
সোমবার (৩ জুলাই) ভোরে নগরের লঞ্চঘাট এলাকায় বরিশাল বহুমুখী সিটি পাইকারি সবজি বাজারে এসে পৌঁছায় ভারতীয় কাঁচা মরিচ।
সকাল থেকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন বাজারের আড়তদারেরা । খুচরা বাজারে একইভাবে দাম কমবে বলে জানান তারা ।
দেশীয় মরিচ কম ছিল। তাই রোববার (২ জুলাই) পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে তা ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসায় একদিনে কমেছে প্রতি কেজিতে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
তিনি জানান, সোমবার সিটি পাইকারি মার্কেটে ভারত থেকে আসা কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তাই খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে।
এদিকে সিটি মার্কেটের দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক আমিন শুভ জানান, এক সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের দাম বেশি ছিল। আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম কমেছে। তবে ভোরে যে দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কম দামে বিক্রি হয়েছে। কারণ মরিচ পচনশীল দ্রব্য, যত সময় যাবে ওজনও কমবে পচনও ধরবে। সর্বশেষ ভারতীয় কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি কাঁচা মরিচ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে দুয়েক দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমবে।
শেখ বাণিজ্যালয়ের শুভ মিয়া জানান, কম দামে কিনতে পারায় ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে ভারতীয় মরিচ আসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা। তারা যে দামে কিনে এনেছেন, সে দাম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন।
বরিশাল বহুমুখী সিটি পাইকারি সবজি বাজারের সভাপতি দেলোয়ার ভুইয়া জানান, প্রথম দিন বরিশালে ভারতে প্রায় ৬ হাজার কেজি কাঁচা মরিচ এসেছে। বাজারের ছোট-বড় মিলিয়ে ৮১টি আড়তে এসব মরিচ বিক্রি হয়েছে।
এদিকে নগরের বাংলা বাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে ২০০ টাকা দরে কাঁচামরিচ কিনে ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি না করলে খরচে পোষায় না।